শামীম আহমেদ ॥ বরিশাল সরকারি পলিটেকনিক ইনষ্টিটিউট শাখা ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদককে বেদম মারধর করেছে ছাত্রলীগ নামধারী একদল তরুন। তাদের হামলায় ছাত্রফ্রন্টের পাঠচক্র সভা পন্ড হয়ে যায়। আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে কলেজ ক্যাম্পাসে এ হামলা চালানো হয়।
আহত দুই ছাত্রফ্রন্ট নেতা হলেন- ইনষ্টিটিউট শাখার সভাপতি নাসরিন আক্তার টুম্পা ও সাধারন সম্পাদক রতন গাইন। তারা উভয়ে ষষ্ঠ সেমিষ্টরের শিক্ষার্থী।
বাসদের বরিশাল জেলা শাখার সদস্য সচিব ডা. মনিষা চক্রবর্তী জানান, আজ বুধবার পলিটেকনিক ক্যাম্পাসে ছাত্রফ্রন্টের নিয়মিত আয়োজন পাঠচক্র সভা ছিল। এ সভা শুরুর আগে সংগঠনের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক নির্ধারিত স্থানে উপস্থিত হলে অন্যান্য কর্মীরা সেখানে আসতে শুরু করে। বেলা ১১টার দিকে ছাত্রলীগ পরিচয়ধারী সাজ্জাতুল ইসলাম রানা নামক এক তরুন এসে টুম্পার হাতে থাকা খাতা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এসময় টুম্পাকে শারীরিকভাবে নাজেহাল করে ওই তরুনরা। তাকে রক্ষায় সম্পাদক রতন গাইন এগিয়ে গেলে তরুনরা তাকেও বেদম মারধর করে। ডা. মনিষা জানান, রানা ইনষ্টিটিউটের অনিয়মিত ছাত্র। ছাত্রলীগ পরিচয়ে সে ছাত্রাবাসে অবৈধভাবে বসবাস করছে।
বরিশাল পলিটেকনিক ইনষ্টিটিউটে দীর্ঘবছর যাবত ছাত্রলীগের কমিটি নেই। একদল ছাত্র নিজেদের ছাত্রলীগ পরিচয় দিয়ে ক্যাম্পাসে আধিপত্য ধরে রেখেছে। আজ হামলার নেতৃত্ব দেওয়া রানা তাদেরই একজন বলে জানা গেছে। হামলার বিষয়ে রানার বক্তব্য জানা যায়নি। তবে ক্যাম্পাসে রানার সিনিয়র নেতা দাবীদার সাজ্জাদ আহমেদ শান্ত বলেন, “ঘটনার সময় আমি সেখানে ছিলাম না। রানা সেখানে অন্য কর্মীদের নিয়ে দাঁড়ানো ছিল। ছাত্র ফ্রন্টের কর্মীরা হয়তো নেশাগ্রস্থ ছিল, তাই আবোল-তাবোল বলছে”।
শান্ত দাবী করেন, এ ঘটনার সঙ্গে রানার নাম জড়ানোর কারনে তাকে কয়েকটি চর থাপ্পার দিয়ে এক সপ্তাহ কলেজে আসতে নিষেধ করেছেন। ছাত্রলীগের অপর গ্রুপের হাসিবুল হাসান শান্তর অনুসারীরা ছাত্র ফ্রন্টের ওপর হামলা করেছে বলে অভিযোগ করেন সাজ্জাদ আহম্মেদ শান্ত।
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply